আটটি সন্তান প্রসব করেছেন জামালপুরের দুই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে ৪টি কন্যাসন্তান প্রসব করে আঞ্জুয়ারা বেগম।
আর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে সাজু- দুলেনা দম্পতির কোলে আসে আরও ৪টি সন্তান।
আঞ্জুয়ারা বেগমের ননদ ছানোয়ারা বেগম বলেন, পেটে তিনটি শিশু আছে বলে জানতে পারি। গর্ভে শিশুদের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বুধবার বিকালে ক্লিনিকে ভর্তি করি। এরপর ডাক্তার সিজারের সিদ্ধান্ত নেন। সিজারের পর আমরা দেখি ৪টা কন্যাসন্তান। আমরা এখন অনেক খুশি।
অপারেশনের পরই নবজাতক ৪ কন্যা শিশুকে পাঠানো হয় জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে ৪ কন্যা শিশুকে বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্রে রাখেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক।
বিয়ের সাত বছর পর একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জনক হতে পেরে আবেগে আপ্লুত আতাউর হোসেন বাবু; কিন্তু তিনি পেশায় দরিদ্র কাঠমিস্ত্রি হওয়ায় ৪টি কন্যা সন্তান লালন-পালনে সহায়তা কামনা করেছেন।
এদিকে সাজু-দুলেনা দম্পতির তিন কন্যা সন্তান স্বাভাবিক থাকলেও মারা যায় একটি ছেলে সন্তান। আগের ৫টি সন্তানসহ মোট ৮ সন্তানের পিতা হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা সাজু মিয়া।
জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সাজু মিয়া বলেন, আমার ৫টি সন্তান রয়েছে। আজ আরো ৩টি সন্তানের পিতা হলাম। মোট ৮ সন্তানের পিতা হলাম। আমি আমার আনন্দ বলে বোঝাতে পারছি না।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স শিউলি খানম বলেন, আমি ১০ বছর যাবত প্রসূতি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছি।