এর আগে রবিবার পরীমনি শরীফুল রাজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন ফেসবুকে।
এমনকি তার সঙ্গে আর থাকবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এরপর শরীফুল রাজ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি নন।
তবু নিজের অবস্থান সম্পর্কে রাজ বলছেন, ‘এখন চুপচাপ থাকতে চাই। আর ওর এসব আমি আটকাব না বা থামাব না। পরী এখন যা করছে বা তার যা মন চায় করুক। পরীর যা মন চায়, তা করুক। ’
সম্পর্ক জোড়া লাগবে কি না এর উত্তরে শরীফুল রাজ বললেন, ‘না, আর হবে না। ’
পরীমনি স্বামী রাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। মূল অভিযোগ রাজ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। তাকে একাধিকবার মারধর করেছেন। পরীমনি রক্তমাখা বিছানার ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
পরীমনি যখন নানা অভিযোগ তুলে বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন, তখন ফেসবুকে ছেলের ছবি দিয়ে তার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন শরিফুল রাজ।
রাজ লিখেছেন—‘প্রিয় পুত্র আমার, এ বছর তো অবশ্যই, সামনের সময়টাও দুর্দান্ত কাটুক তোমার। আগামী বছরগুলোতে তোমার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমার হৃদয় সব সময় তোমার জন্য ভালোবাসায় পূর্ণ। তুমি যত বড় এবং শক্তিশালী হও না কেন! তুমি কখনোই তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না—হ্যাপি নিউ ইয়ার। ’
এর আগে রাজ-পরীর সাংসারিক সংকট নিয়ে নানা তথ্য সামনে এলেও বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের কথা ছড়াতে থাকে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রবিবার ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন নায়িকা। তিনি লেখেন—‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন। ’
এর মাঝে রবিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আবার পরীমনি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
পরীমনি লিখেছেন—বাবা-মায়ের একটি ‘অসুস্থ সম্পর্ক’ সন্তানের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না।