২৪ ঘণ্টায় (১৭ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ১৮ মার্চ সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৮৭ জন। যা কীনা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ১৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে (১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ)। অথচ গত মাসেই (ফেব্রুয়ারি) শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২-এর ঘরে।
গত বছরের ৮ মার্চে দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম তিন রোগী শনাক্তের ঠিক ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চে করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
তখন থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত বাড়লেও দেশে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ওই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের। জুন মাসে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। আগস্ট মাস থেকে নতুন রোগীর সংখ্যা কমতে দেখা যায়।
শীতের সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকলেও রোগী শনাক্তের হার ছিল নিম্নমুখী।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ৯২ শতাংশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ, ১৯ ফেব্রুয়ারি দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ। ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ, ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে শীতের শেষে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগী শনাক্তের হার।
চলতি মাসের শুরু থেকেই দৈনিক শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করে। ১ মার্চ থেকে শনাক্তের হার চারের ওপরে চলে যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে সেটা তিন থেকে চারের ভেতরে ছিল। ৭ মার্চের পর থেকে বাড়তে থাকে এবং সেটা বেড়েই চলেছে।
১৭ মার্চে শনাক্তের হার ছিল সাত দশমিক ৬৮ শতাংশ, ১৬ মার্চে আট দশমিক ২৯ শতাংশ, ১৫ মার্চে নয় দশমিক ৪৮ শতাংশ, ১৪ মার্চে সাত দশমিক ১৫ শতাংশ, ১৩ মার্চে ছয় দশমিক ২৬ শতাংশ, ১২ মার্চে ছিল ছয় দশমিক ৬২ শতাংশ, ১১ মার্চে ছিল পাঁচ দশমিক ৮২ শতাংশ আর ১০ মার্চে ছিল পাঁচ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
দেশে করোনা শনাক্তের এক বছর পার হওয়ার পর দুই মাসের ব্যবধানে গত বুধবার ( ১০ মার্চ) আবারও হাজারের ঘরে পৌঁছায় করোনা শনাক্ত। এরপর থেকে করোনা শনাক্ত শুধু বাড়ছে। গত ১৪ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতর এক হাজার ১৫৯ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। এরপর ১৫ মার্চ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৭৩ জন, ১৬ মার্চ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭১৯ জন, ১৮ মার্চ শনাক্ত হন এক হাজার ৮৬৫ জন।