পঞ্চগড় জেলাপ্রতিনিধিঃ
ঋণ না নিয়েও খেলাপির নোটিশ পেয়েছেন রাসেল রানা নামের এক কৃষক।এমনই ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড়ের টুনিরহাট অগ্রণী ব্যাংক শাখায়।এমন কাণ্ডে দিশেহারা ওই কৃষক। এঘটনায় কৃষক ২৫ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে ঋন খেলাপির জন্য নোটিশ দেয়, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, টুনিরহাট শাখা। পঞ্চগড় সদর উপজেলার চছ পাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে রাসেল রানা নামের এক কৃষককে।নোটিশে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর স্বনির্ভরের আওতায় কৃষি ঋন ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর ঋন পরিশোধ করার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ায় সুদ আসলে ৭০ হাজার ৫৩৯ টাকা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক আইনের আশ্রয় নিবেন।উপায় না পেয়ে দিশেহারা ওই কৃষক।
জানা যায়,এর আগে ২০২০ সালে অগ্রণী ব্যাংক টুনিরহাট শাখার মাঠ সহকারী তবিবর রহমান ও শাখা ব্যবস্থাপক মো.সফিউল্লাহ বিরুদ্ধে ঋন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।দফায় দফায় তদন্ত চলছিল তাদের বিরুদ্ধে।
কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপককে বদলি করে মুন্সিগঞ্জ শাখায় সংযুক্ত করে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাকুরীও নাই মাঠ সহকারী তবিবর রহমানের।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়,২০১৯-২০ অর্থ বছরে শস্যঋন বাবদ বিতরন করা হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী রাসেল রানা জানান,আমি কোন দিন ব্যাংকে যাইনি কিন্তু আমার নামে ঋন হয়েছে, তাও আবার প্রায় তিন বছর আগে, নোটিশ পেয়ে জানতে পারলাম।ঋণ বিতরণে দালাল চক্র ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋন নিয়ে আত্মসাত করেছেন ।তাদের অনিয়ম তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংক টুনিরহাট শাখা ব্যবস্থাপক মো.হাবিবুর রহমান জানান, ৫-৬ জনের অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।প্রায় তিন বছর আগের ঋন এতদিন পরে কেন খেলাপির নোটিশ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি করোনাকালীন সময়ে কোন নোটিশ করা হয়নি বলে জানান।
মে.এনামুল হক
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়।