জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। পানি যত কমছে পচা দুর্গন্ধ তত ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত না হাওয়ায় ও রোদ উঠায় উপজেলার নদ-নদী ও হাওর-বিলের পানি কমতে শুরু করেছে।
তবে উপজেলা সদরের পৌর শহরসহ জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা জমে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কের উঁচু স্থানে থাকা গবাদি পশুর মলমূত্রের দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পৌর শহরের সদরের জগন্নাথপুর বাজার, উপজেলা পরিষদ এলাকা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ অনেক এলাকায় পানি কমার সাথে সাথে আর্বজনা জমে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এর আগে ১৭ জুন জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। গত কয়েক দিনে উপজেলা সদরের উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও নিচু এলাকায় ধীরে ধীরে পানি নামছে। হাওরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পানি কমার সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। গত ১১দিনেও স্বাভাবিক হয়নি সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় বন্যার পানির কারণে সচল হয়নি বিদ্যুৎব্যবস্থা। অসংখ্য গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িতে পানি রয়েছে। ফলে যেসব এলাকায় পানি কমার পাশাপাশি ময়লা-আর্বজনা আটকে আছে সেসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এ ছাড়া ময়লা পানিতে পচা আর্বজনার দুর্গন্ধ ভেসে আসছে।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই এলাকার ছালিক আহমদ পীর বলেন, বন্যার পানি কমলেও পৌর শহরসহ অনেক এলাকায় পচা আর্বজনা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে নানা রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা আছে। বাড়ছে দুর্ভোগও।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধুসূদন ধর বলেন, ‘আমাদের মেডিক্যাল টিম প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে ঘুরে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওষুধ বিতরণ করছে। আমি নিজেও দুর্গত এলাকায় কাজ করছি। ‘
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তর হোসেন বলেন, ‘বন্যার জমে থাকা ময়লা-আর্বজনা অপসারণ করছে আমাদের পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।