ইন্টারপোলের ঢাকার ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ডেস্কের মাধ্যমে বুধবার (১৮ মে) ভারতের নয়াদিল্লির এনসিবি ডেস্কে চিঠিটি পাঠানো হয়। চিঠিতে পি কে হালদারকে আইন অনুযায়ী দ্রুত দেশের কাছে হস্তান্তর করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া ভারতে পাচার করা সম্পদের খোঁজ করে তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেও (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইন্টারপোলে প্রথম চিঠি পাঠায় দুদক। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ জানুয়ারি ইন্টারপোল পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছিল।
এরপর ১৪ মে পি কে হালদারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৫ মে ইন্টারপোলের ঢাকা ডেস্ক থেকে নয়াদিল্লি ডেস্কে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুদক বুধবার ইন্টারপোলের কাছে আরও একটি চিঠি পাঠালো।
এদিকে গতকাল বুধবার, পি কে হালদারকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে একটি টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই টিম পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে আইনি বাধা দ্রুত নিরসনের উপায় বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়া ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের আরো একটি মামলা করেছে দুদক। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক এ পর্যন্ত ৩৭টি মামলা করেছে।পি কে হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ফাস ফাইনান্সসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।