ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এখন সরকার যে পদ্ধতিতে ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের একটি শাসন ব্যবস্থার মধ্যে আমরা থাকতে পারি না। এদেশের তরুণরা, নাগরিকরা কোনও কিছু করতে গেলেই তারা বাধা দেবে। এই বাধা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাদের এরকম স্বৈরাচরের কবলে থাকার কথা ছিল না। ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো ছিনিয়ে নিতে পারবো। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমরা মালিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। মানুষের যেটা প্রাপ্য সেটা আদায় করে নিতে হবে।
মঙ্গলবার ১৬ মার্চ বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে কার্টুনিস্ট মুশতাক আহমেদ স্মরণে নাগরিক শোকসভায় এসব কথা বলেন কামাল হোসেন। এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সভা পরিচালনা করে মুশতাক আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, চারু মজুমদার জেলখানায় মারা গিয়েছিলেন। তিনি হৃদরোগী ছিলেন এবং সময় মতো তাকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। মুশতাকের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে কিন্তু চিকিৎসা করা হয় নাই। জেলখানাতে তার ব্যবস্থাও নাই।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি অন্তত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো জঘন্য আইন প্রণয়ন করতে চাইতেন না, ভোটারবিহীন নির্বাচন মানতেন না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মুশতাকের মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড, আমরা নাগরিকরা এর বিচার চাই? আমরা বলছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই, সরকার বলছে আইন বাতিল হবে না। জীবনের লড়াই করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার একটি জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে বসেছে। ফলে তাৎক্ষনিক উত্তেজনা নিয়ে এ সরকারকে দমানো যাবে না। এ জন্য কিছু চিন্তাভাবনা করতে হবে।
ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র যারা কায়েম করতে চায় তাদেও জন্য তাদেও আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ইস্যু অনেক আসবে আমরা অনেক আন্দোলন করবো কিন্তু এই দানবকে হটানো যাবে না।