গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে ৪৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে ইউরোপের চার দেশ। আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও চেক প্রজাতন্ত্র সরকার মঙ্গলবার তাদের বহিষ্কারের আদেশ জারি করে।
এর আগে গত পোল্যান্ডসহ ইইউ ব্লকের আরও কয়েকটি দেশ এমন পদক্ষেপ নেয়।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোফি উইলমস জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত।
পার্লামেন্টে সোফি বলেন, ‘ ব্রাসেলসে রুশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ২১ কর্মীকে দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। এ জন্য তাদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।
‘এই পদক্ষেপটি প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডসও নিয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতার অভিযোগে সে দেশে অবস্থান করা ১৭ রুশ কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।’
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এমপিদের বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা পরামর্শ পাওয়ার পর চার রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উনাদের কূটনৈতিক আচরণ আন্তর্জাতিক মানের নয়।’
এ সিদ্ধান্তকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রত্যাখান করেছে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের রুশ দূতাবাস। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে।
এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রাগ থেকে বহিষ্কার হওয়া কূটনীতিক ছিলেন রাশিয়ার ডেপুটি রাষ্ট্রদূত।
টুইটে চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আমরা মিত্রদের সঙ্গেই আছি। ইইউতে রুশ গোয়েন্দাদের উপস্থিতি কমিয়ে এনেছি।’
পোল্যান্ড ২৩ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৫ স্বীকৃত কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিউস কামিনস্কি টুইটে জানান, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আমাদের দেশে রাশিয়ান বিশেষ পরিষেবা নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলেছে।
চলতি মাসে শুরুতে বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া এ ধরনের অভিযোগে ২০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল।