বৃহস্পতিবার জাপানের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রের এ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাপানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পর প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার (৬৮৪ মাইল) দূরের জাপানের জলসীমায় পতিত হয়।
এর আগে, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৪ মার্চ দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। যদিও পিয়ংইয়ং এর দাবি, একটি পুনরুদ্ধার স্যাটেলাইট নির্মাণের উদ্দেশেই ছিল এই পরীক্ষা। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করে সেগুলো ছিল পূর্ণ মাত্রার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগাম প্রস্তুতি।
একটি আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হাজার হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম। এমনকি তা যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে পারে। এছাড়াও, তা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনেই রয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে পিয়ংইয়ং কোনো আইসিবিএম বা পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। এছাড়া, চলতি বছরে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত ৯ বার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
২০১৭ সালের উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা আইসিবিএম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আন্ত:মহাদেশীয় ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি যদি একটি মানসম্পন্ন উৎক্ষেপণ যন্ত্রের সাহায্যে নিক্ষেপ করা হয় তাহলে তা প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ ভ্রমণ করতে সক্ষম। যার অর্থ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন অংশে পৌঁছাতে পারে।