পণ্য রপ্তানির নামে ২২ লাখ টাকা অর্থপাচারের চেষ্টা করেছে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশন। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার শুলশানের আরএম স্টোরে অবস্থিত। ৩৮ হাজার রপ্তানি পণ্যের ঘোষণা দিয়ে ৮৩ হাজার পণ্য রপ্তানির জন্য কন্টেইনার ভর্তি করছিল ওই প্রতিষ্ঠান। এর আগে খবর পেয়ে কাস্টমস দল ধরে ফেলে।
চালানটিতে ২২ লাখ শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিল।
এই প্রতিষ্ঠানটি এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়ে অর্থপাচার করছিল বলে সন্দেহ করছে কাস্টমস। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির আগের চালানগুলো যাচাই করে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকেও নজরদারিতে রেখেছে কাস্টমস।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার আহসান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গার্মেন্ট ঘোষণা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ৪৫ হাজার পিস বেশি পণ্য রপ্তানির জন্য কন্টেইনার ভর্তি করছিল। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল পোলো শার্ট, লেডিস-জেন্টসের আন্ডার গার্মেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আমরা অর্থ পাচার করার চেষ্টাছিল বলে ধারনা করছি। এর প্রতিষ্ঠানটির আগের চালানগুলোতে এমন অনিয়ম ছিল কিনা খতিয়ে দেখছি। ’
জানা গেছে, ঢাকার গুলশান এভিনিউর আরএম স্টোরের ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশান নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চালানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আনা হয়েছিল। সেখান থেকে কন্টেইনার ভর্তি করে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজীকরণ করার কথা ছিল। এ চালানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
চালানটির বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খোলেন। রপ্তানিকারক ঘোষিত ৩৮ হাজার ৩১১ পিসের বিপরীতে ২১ হাজার ৯৭২ দশমিক ৭৫ ডলার (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য দশমিক ৫৮ ডলার) বা ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব পেতো সরকার। কিন্তু কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস পণ্য। অতিরিক্ত পাওয়া যায় ৪৫ হাজার ৪০ পিস পণ্য। সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা প্রাপ্তি হতো। রপ্তানিকারক এ চালানের মাধ্যমে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করেছেন।