সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তন করে। সেসময় সংস্থাটি জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
তবে এর চেয়ে কম ঘনত্বও উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে পিএমটুপয়েন্টফাইভের গড় মাত্রা ছিল ৭৬.৯ মাইক্রোগ্রাম।
সুইজারল্যান্ডের দূষণ প্রযুক্তি সংস্থা আইকিউএয়ারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জরিপ করা শহরগুলোর মধ্যে মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শহর ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে। তবে ৯৩টি শহরে পিএম২.৫ এর মাত্রা প্রস্তাবিত স্তরের চেয়েও ১০ গুণ বেশি।
আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি শ্রোডার বলেন, ‘অনেক দেশ আছে যারা বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে। চীনের অবস্থা অতীতে অনেক খারাপ ছিল, তবে দেশটি দিন দিন উন্নতি করছে। তবে বিশ্বে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ।’
সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ভারতের সামগ্রিক দূষণের মাত্রা আরও খারাপ হয়েছে এবং নয়াদিল্লি আবারো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তকমা পেয়েছে।
বাংলাদেশ আগের বছরের মতো ২০২১ সালেও সবচেয়ে দূষিত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত রাজধানী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো আফ্রিকার দেশগুলোর তথ্য নেওয়ায় চাদ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে দূষণের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় চীন ২০২১ সালে পিএম২.৫ র্যাঙ্কিংয়ে ২২তম স্থানে নেমে এসেছে। এর আগের বছর দেশটির অবস্থান ছিল ১৪তম। আইকিউএয়ার বলছে, ২০২০ সালের তুলনায় কিছু উন্নতি হয়ে ২০২১ সালে চীনে পিএম২.৫ মাত্রা ৩২.৬ মাইক্রোগ্রামে নেমে এসেছে।
জিনজিয়াং প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোতান ছিল চীনের সবচেয়ে বায়ু দূষিত শহর। যেখানে পিএম২.৫ এর গড় মাত্রা ছিল ১০০ মাইক্রোগ্রামেরও বেশি, যা মূলত ধূলিঝড়ের কারণে হয়েছিল।
তবে চীনের হোতান শহর ভারতের ভিওয়াদি ও গাজিয়াবাদকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে।