এর আগে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজা শেষে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহ ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে বনানী বেসামরিক কবরস্থানে আনা হয়। এবং দুপুর বেলা ১২টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার বিকেলে নেত্রকোণার কেন্দুয়ার পেময়ী গ্রামের বাড়িতে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
১৯৯০ সালের ১৪ই জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ওই বছরই স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ পদত্যাগ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্ব পালন শেষে ফের প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে অবসরে যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রপতি হন সাহাবুদ্দীন আহমদ।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন-যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।