বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
১২ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। এছাড়া বুস্টার ডোজ দেয়ার সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে, দেশের সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনতে গেল ২৬শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিনের বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি পালন করা হয়। একদিনে কোটি ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও পরবর্তীতে তিনদিন ধরে চলে এ কর্মসূচি। সে সময় প্রায় তিন কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়।
এরও আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়া লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এক দিনে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়। করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কাযক্রম শুরু করে সরকার।
গত ১৪ই মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ২২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৩ জন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৪ জন। আর এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ২৫১ জনকে।
দেশব্যাপী টিকাদানের বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে এ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।