ভোজ্য তেলের উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হলেও বাজারে এখনও তার প্রভাব নেই। কমেনি তেলের দাম। বাড়েনি খুচরা বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ।
কমেনি ছোলা ও চিনির দামও। নতুন করে ধরণভেদে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে সব চালের দাম। নাজিরশাইল ৭৫ টাকা, মিনিকেট ৬৫- ৬৬, মোটা চাল ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পোলায়ের চালের দাম, কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে লবন, মশুরডাল, রসুনের দামও।
পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ছোলা ৮০, চিনি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তেল, ছোলা ও চিনির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী ভোজ্যতেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের ঘোষণা দেন। এই ভ্যাট প্রত্যাহার ৩০শে জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।
বর্তমানে এক লিটার সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ দাম ১৬৮ টাকা, এই ভ্যাট প্রত্যাহার বাস্তবায়ন হলে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩০ টাকা কমবে। এর আগে, চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার চিনির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল।
গেল সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা না কমা পর্যন্ত ভোজ্যতেলের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানায় দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন সেদিন রাজধানীর মতিঝিলে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান।