শুক্রবার ফিলাডেলফিয়ায় হাউস ডেমোক্র্যাটদের এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
এসময় জো বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে আক্রমণাত্মক সরঞ্জাম পাঠানো, আমেরিকান পাইলট এবং ক্রুসহ প্লেন বা ট্যাঙ্ক পাঠানো এসব বিষয় নিয়ে একটু চিন্তা করুন। এসব পাঠানো ছেলেখেলা নয়। আপনারা যাই বলুন না কেন, এসব পাঠানোর অর্থই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।’
রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান দিয়ে মার্কিন সহায়তা না দেয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান দিয়ে মার্কিন সহায়তার মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
এছাড়া, এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই, আমরা ন্যাটো অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা পূর্ণ শক্তি দিয়ে রক্ষা করব। কিন্তু আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেব না। রাশিয়া ও ন্যাটোর মুখোমুখি লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার মানে হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।’
এর আগে, ইউক্রেনকে সোভিয়েত-ডিজাইনের ২৮টি মিগ-২৯ হস্তান্তর করার জন্য পোল্যান্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বাইডেন। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেতের কথা উল্লেখ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটি থেকে মিগ-২৯ জেট উড্ডয়নের প্রস্তাব দেয় পোল্যান্ড। তবে, ইউক্রেনের আকাশে সেই জেটগুলো মার্কিন বা ইউক্রেনীয় পাইলটরা চালাবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেয়নি পোল্যান্ড।