এ অবস্থায় নারীদের ওপর যৌন হয়রানি বন্ধে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আজ ৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যৌন নিপীড়নবিরোধী দিবস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে-বাইরে সর্বত্র নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়। যৌন হয়রানির শিকার নারীই উল্টো সামাজিকতার ভয়ে গুটিয়ে নেয় নিজেকে। এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। এটি নির্মূল করতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও জরুরি। দিবসটিকে ধরে প্রচার-প্রচারণা ও বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১০ সালে উচ্চ আদালত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে একটি নির্দেশনা দেন।
তাতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যেসব প্রতিষ্ঠানে নারী রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে একজন নারীর নেতৃত্বে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি থাকতে হবে। কমিটিতে নারীদের প্রাধান্য থাকতে হবে। একটি বাক্সে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি তিন মাস পর ওই বাক্স খুলে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কমিটি। তদন্তে নিরপেক্ষ ফল পেতে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। কেউ চাইলে সরাসরি কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। কিন্তু ১২ বছর পরে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কিছু প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কমিটি থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই নেই।
‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২১’ শিরোনামে শিশুবিষয়ক সংবাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)’ জানায়, করোনার কারণে বিগত বছরের বেশির ভাগ সময় জনসমাগমস্থলে শিশুদের তেমন উপস্থিতি না থাকলেও ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৮১৮ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে শিশু ধর্ষণের এই সংখ্যা ছিল ৬২৬। এ ছাড়া একই সময়ে আরো ৯৪ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১৪ মেয়েশিশু। এই সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১০টি শিশু।