পেছনে অন্যতম কারণ হলো রাশিয়া তাঁদের পরমাণু অস্ত্রবাহী বাহিনীকে সক্রিয় করতে শুরু করেছে যুদ্ধের জন্য। ইউক্রেন সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে মস্কো থেকে পরমাণু অস্ত্রবাহী সমরাস্ত্র। অন্যদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন হামলায় ন্যাটো অংশগ্রহণ করবে বলে তাঁরা পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের দায় চাপিয়ে দিয়েছে ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রসের ঘাড়ে। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হচ্ছে, রাশিয়া যাবতীয় অন্যায় ধামাচাপা দিতেই এই অভিযোগ করেছে। পরমাণু হামলা হলে তার ভয়ানক ফল যে হতে চলেছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল সবাই। আর তাই বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার আগ্রাসনী ভূমিকার নিন্দা শুরু হয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তত ভয়াবহ হচ্ছে। ইতোমধ্যে গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে এই রক্তক্ষয়ী লড়াই কখন, কীভাবে শেষ হবে। এর জবাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পররাষ্ট্র নীতি’ বিভাগের অধ্যাপক পল পোস্ট। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিকের বিখ্যাত সাংবাদিক ডেরেব থম্পসনকে সাক্ষাৎকার তিনি।
এতে চলমান যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে পাঁচটি দৃশ্যপট অঙ্কন করেছেন পল। তিনি বলছেন, ইউক্রেন থেকে রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার করলে, ইউক্রেন নিজেদের অবস্থান পাল্টালে অথবা যুদ্ধে জয়ী হলে, নতুন রুশ সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন হলে এবং এর জেরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ গড়ালে একপক্ষের জয় হলে এর সমাপ্তি ঘটতে পারে।
অধ্যাপক পল বলেন, মূলত বর্তমান ইউক্রেন সরকারের পতন ঘটানোয় রাশিয়ার লক্ষ্য। তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে বেলারুশের মতো ইউক্রেনীয় সরকার হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘স্টেট ডেথ’ হলে সমগ্র ইউক্রেন রাশিয়ার দখলে আসবে। এরই মধ্যে ক্রিমিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। ফলে যুদ্ধ শেষ হবে।
স্টেট ডেথের ব্যাখ্যায় পল বলেন, ফের সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন রুশ সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে চাচ্ছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার লক্ষ্য ইউক্রেনের স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া।
সর্বোপরি এই যুদ্ধের পরিণতি কী হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এই বিশেষজ্ঞ।