সাইরেন আর বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে ইউক্রেনের বড় শহরগুলো। কিয়েভ ও খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। চেরনিহিভ শহরের একটি বেসমারিক ভবনেও মিসাইল হামলা হয়েছে।
কিয়েভের কাছের একটি বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিয়েভকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার পাশাপাশি বারদিয়ানস্ক শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে রুশ সেনারা।
এদিকে, রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় আগামী ২৪ ঘণ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জেলেনস্কির সাহসী ভূমিকায় তার প্রতি সাধারণ নাগরিকদের সমর্থন ৯০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার অভিযানে ইউক্রেনের ৩৫২ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৪ শিশু রয়েছে। এছাড়া শতাধিক শিশুসহ ১৬শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, রুশ সেনাদের সহায়তা করতে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে পারে বেলারুশের সেনারাও।
এদিকে, রাশিয়া ও ন্যাটোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ার ব্যাপারে ভোট গ্রহণ করেছে বেলারুশ। পারমাণবিক অস্ত্র নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
বেলারুশ সীমান্তে আজ আলোচনায় বসতে পারে ইউক্রেন ও রাশিয়া। কোনও রকম পূর্ব শর্ত ছাড়াই এই বৈঠকে বসবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে আজ বিশেষ বৈঠকে বসবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদের ডাকে জরুরি এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেন সংকট মোকাবিলায় আজ পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এর আগে ‘জেনোসাইড কনভেনশনের’ আওতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
তাছাড়া, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করতে চায় বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
অন্যদিকে আকাশ যোগাযোগ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মান নেমে যাওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতে অস্থিরতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।