মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, তদন্ত কমিটির সুপারিশকৃত ২৪টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এছাড়া, এক মাসে ১১ জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ।
গেল জানুয়ারি মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ এবং একটি সিংহ মারা যায়। একসঙ্গে এত প্রাণির মৃত্যুতে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর প্রাণিগুলোর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশে দায়িত্বে অবহেলা এবং জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, ২রা ও ৩রা জানুয়ারি তিনটি জেব্রার মৃত্যু ধামাচাপা দেয়া এবং ‘আঘাতজনিত কারণে মৃত্য হয়েছে’ দেখাতে তিনটি জেব্রার পেট ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে, কে বা কারা উক্ত মৃত তিনটি জেব্রার পেট কেটেছে তা উদঘাটন করার জন্য নিবিড় তদন্তের প্রয়োজন বলে তদন্ত প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্তব্যরত ভেটেরিনারি অফিসারের চাহিদা মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাফারি পার্ক মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহ্বান করার বিধান থাকলেও ১১টি জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। এছাড়াও কোন প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করার প্রচলন থাকলেও এক্ষেত্রে থানায় কোন জিডি করা হয়নি! যা রহস্যজনক বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে।