বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের গড়িয়াবুনিয়া গ্রামে ৩টি সংযোগ খালের ওপর নির্মিত ৩টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ওইসব সেতু দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৫-৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। সেতুগুলো সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণ করা না হলে যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের গড়িয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তালগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় যাওয়ার পথে দুইটি সেতু কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন এই ২টি সেতু দিয়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ চলাচল করেন। অন্য সেতুটি গড়িয়াবুনিয়া বাজার ও গড়িয়াবুনিয়া ফুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগস্থলে। এই সেতু দিয়েও প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি চলাচল করেন।
সেতু ৩টির উভয় পাড়েই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পোস্ট০ অফিস, একটি হাফিজিয়া মাদরাসা, দরবার শরীফ, রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া এহছাকিয়া আলিম মাদরাসা, ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ও গড়িয়াবুনিয়া বাজার। ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইক, মোটরবাইক ও শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এসব সেতু স্লাভ ভেঙে পরে গিয়েছে আরো দুবছর আগে। লোহার এঙ্গেলে মরিচা ধরছে। ওপরের প্লাস্টারের পাটাতন ভেঙে গেছে। ভাঙা অংশে, বাঁশে কঞ্চি, গাজকচা, সুপারি গাছের ফালি দিয়ে, সুতা ও গুনা দিয়ে বেঁধে চরম ঝুঁকিতে লোকজন চলাচল করছে।
এ সেতু তিনটির একটি দিয়েও গাড়ি চলাচল করার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। ওই গ্রামের বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন বেপারী জানান, গড়িয়াবুনিয়া বাজারের যে সেতুটি রয়েছে সেটা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতাগী সরকারি কলেজ, বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতু ভেঙে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গড়িয়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেতাগী সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেবিকা হাওলাদার জানান, সেতুর ওপরের অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। এ কারণে আমাদের কলেজে যেতে হলে সেতুর ওপার পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে তারপর গাড়িতে উঠতে হয়। সময়মতো কলেজ করতেও পারি না।
সেতু সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে এ বিষয় বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নওয়াব হোসেন নয়ন বলেন, সেতু ৩টি পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, এখন কোনো সরকারি বরাদ্দ নেই।