রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার (১৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আগামী ১৫ এপ্রিল এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাঁচ-ছয়জনকে অচেনা আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করে র্যাব-৩। মামলায় বলা হয়, ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ ফেসবুক পেইজ থেকে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা বা বিভ্রান্তি ছড়ানো বা এ উদ্দেশ্যে জেনেশুনে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মুশতাক আহমেদ।
সায়ের জুলকারনাইন সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর ‘সামি’ বলে জানা গেছে। গত বছরের মে মাসে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুলকে লালমাটিয়া ও কাকরাইলের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মারা যান কারাবন্দি লেখক মুশতাক। দিদারুল জামিনে আছেন।
আর গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন ৪ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান কিশোর। মুক্তির পর গত বুধবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।