সমাজের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত ধাপগুলো পার হয়ে যেতে পারে খুব অল্প মানুষেরাই। তারাই যুগ স্রষ্টা। কিন্তু যুগ স্রষ্টারা যে সব সময় পরিচিত হন তা নয়। চারপাশে বহু মানুষকে আলোকিত করে একসময় জীবন ও মৃত্যুর প্রহেলিকায় হারিয়ে যান অনেকেই। কিন্তু আলোর প্রতিফলন থামে না। ঠিক তেমনি এক আলোকবর্তিকার জীবনকেন্দ্রিক নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘আলো-আঁধার’।
মহীউদ্দীন আহমেদের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জীব দাস। ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত তারকাবহুল ধারাবাহিকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, সমু চৌধুরী, মাহামুদুল ইসলাম মিঠু, ইসরাত জাহান চৈতি, তানিয়া বৃষ্টি, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, নাদিয়া মিম, সামিনা বাশার, শৈলি আহসান, অপু আহমেদ, তানভীর মাসুদ,নুসরাত জান্নাত রুহী,আঞ্জুমান আরা বকুল, নাসিমা খানম প্রিমা, ইমরান হাসু, দ্বীপ রাজ, সিরাজ আহমেদ প্রমুখ। শুক্রবার থেকে এই ধারাবাহিকটির ২য় পর্যায়ের দৃশ্য ধারণ শুরু হয়েছে।
নির্মাতা সঞ্জীব দাস বলেন, বাংলা ভাষাভাষী সকল মানুষের এই ধারাবাহিকটি ভালো লাগবে। এখানে মফস্বলের চিরাচরিত আটপৌঢ়ে জীবনের পাশাপাশি দেখা যাবে শহুরে জীবনের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছিবি। ফলে এই নাটকের প্রতি আকর্ষণ থাকবে গ্রাম ও শহুরে দর্শকের। একইসঙ্গে প্রবাসী দর্শকও এই নাটকটি পছন্দ করবে বলে আশা ব্যক্ত করছি। অচিরেই এটিএন বাংলায় নতুন ধারাবাহিকটি প্রচার শুরু হবে।’
তানভির বলেন, সঞ্জীব দাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা এমন সুন্দর একটি গল্প নিয়ে মনের মাধুরী দিয়ে যত্ন নিয়ে কাজটি করছেন। সত্যি বলতে কী অনেক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে, অহেতুক বিষয় নিয়ে এখন অনেক নাটক নির্মিত হচ্ছে। এমন সময়ে সুস্থ বিনোদন দেয়ার লক্ষ্যে মহীউদ্দীন আহমেদ ‘আলো-আঁধার’ নাটকটি রচনা করেছেন। আমার বিশ্বাস এই ধারাবাহিক দেখে দর্শক বিনোদিত হবেন আবার দর্শকের মনের মধ্যে ভাবনার সৃষ্টি করবে।
নাদিয়া মিম বলেন, নতুন ধারাবাহিকটির গল্প খুবই চমৎকার। গল্পে নতুনত্ব আছে। যে কারণে কাজ করতেও বেশ আনন্দ পাচ্ছি। আশা করছি ভালো একটি ধারবাহিক হবে।