বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রাজনীতির নিয়ন্ত্রন ক্রমান্বয়ে রাজনীতিবদদের হাত থেকে চলে যাচ্ছে। ফলে দেশে ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক শূণ্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার অবসান ও রাজনৈতিক শূণ্যতা পূরণ না হলে দেশ ও গণতন্ত্র ভয়াবহ সঙ্কটে পতিত হতে পারে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ন্যাপ’র সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ এবং চূড়ান্ত অনিষ্ট করার সামর্থ্য বা ক্ষমতা রয়েছে রাজনীতি ও রাজনীতিকদের। কোনো দেশের রাজনীতি যদি হয় নীতিহীন, পচনগ্রস্থ ; তবে সে দেশটির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও সেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। একইভাবে, কিছু কিছু সীমাবদ্ধতার পরও, রাষ্ট্র পরিচালনব্যবস্থা হিসেবে পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে বাদ দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি মূখ্যত মেধাবী ও দুরদর্শী রাজনীতিক হিসেবেই সমাধিক পরিচিত। আজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন গণমানুষের মুক্তির জন্য। প্রতিবাদে-প্রতিরোধে ও সংগ্রামে তিনি কখনো পিছপা হননি।
তিনি আরো বলেন, একটি স্বাধীন দেশ গত ৫০ বছরেও যদি সহিষ্ণুতা ও শৃঙ্খলা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, সে ব্যর্থতার জন্য দেশের দলগুলোর এমন বিশৃঙ্খলাকেই বহুলাংশে দায়ী করতে হবে। গত ৫০ বছর দেশের উন্নয়নের যে শ্লথ গতি সেটি নেতৃত্বের দুর্বলতার জন্যই। তারা শৃঙ্খলা অনিয়ম দুর্নীতির রাশ টানতে সক্ষম হননি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের কারণে রাজনিতিতে নানা দুর্বৃত্তের জন্ম হচ্ছে। আর দুর্বৃত্তের জন্ম হওয়ায় মাধ্যমে প্রমানিত হচ্ছে দেশের রাজনীতি আজ দুর্বৃত্ত ও লুটেরাদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষে প্রয়োজন যাদু মিয়াদের মত মেধাবী রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর নেতা হাবিবুর রহমান, শফিউদ্দিন খালেক প্রমুখ।