সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে কিছুদিন ধরে যে বিশৃঙ্খলা চলছিল, সে ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। সেখানে অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাংগঠনিক তদন্তও চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান (এমআর) ডিগ্রি সরকারি কলেজ মাঠে এই সম্মেলন শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ওরফে রকেট। সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদ আলী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। দল করলে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তিনি যত বড়ই নেতাই হোন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জনগণের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ভালো আচরণ করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যদি জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ না করি, তাহলে শেখ হাসিনার সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আপনারা জনগণকে আচরণ দিয়ে খুশি রাখবেন, এটি শেখ হাসিনার বার্তা। আমি আপনাদের সেই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। জনগণই আমাদের শক্তি।
বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টেনে ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষিত না করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুসময়ে যাঁরা দলে আসছেন, তাঁরা বসন্তের কোকিল। দলের দুঃসময়ে এই বসন্তের কোকিলদের দেখা যাবে না। তখন তাঁরা সরে যাবেন, খুঁজে পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে হবে। খারাপ লোকদের দলে টেনে দল ও গ্রুপ ভারী না করার পরামর্শ দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের মধ্যে যাঁরা অপকর্ম, অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন, আমাদের নেত্রী কাউকেই ছাড় দিচ্ছেন না। আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরাও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কে কোন পরিচয়ের, সেটা দেখবে না।’
বিএনপির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাতে বিএনপি সিদ্ধহস্ত। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে জনগণ ও পুলিশকে দাঁড় করিয়েছে। দলটি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।