আজ সোমবার (৮ মার্চ) এই সুপারিশ করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগের শর্তেই তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা দেশের ভেতরে নেন, তাতে সরকারের কোন আপত্তি থাকবেনা।
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তার পরিবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করার পর তা আইন মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আরও ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের সুপারিশ করে তা আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়।
এদিকে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্বিতীয় দফায় সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ মার্চ। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১১ দিন আগে আবারও সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে তার পরিবার।
এর আগে, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগের দুই শর্তেই সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী চলতি মার্চ মাসেই ৬ মাসের সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সে সময় স্বরাষ্টমন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, করোনার কারণে ৬ মাসে খালেদা জিয়ার পরিবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া সাজা স্থাগিত থাকাকালীন বিদেশে যেতে পারবেন না এবং নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য দুই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে সরকার। তারপর থেকেই রাজধানীর গুলশানে ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’ রয়েছেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত।