চাঞ্চল্যকর সেনাসদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যা মামলার আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো— সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের (১নং) আসামি আকিমুল ইসলাম, একই উপজেলার বোড়াই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, চুয়াডাঙ্গা জেলার ভুলতিয়া গ্রামের মৃত সবেদ আলী মোল্লার ছেলে ডালিম মোল্লা, সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের নবী মোল্লার ছেলে মো. আব্বাস আলী, একই গ্রামের মৃত রমজান মণ্ডলের ছেলে মো. আবুল কাশেম, মৃত সাহেব আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, বংকিরা গ্রামের মো. ইয়াকুব্বর মণ্ডলের ছেলে মো. মতিয়ার রহমান ওরফে ফনে এবং সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের দাউদ মণ্ডলের ছেলে মো. মুক্তার হোসেন ওরফে মুক্তার। আসামিদের মধ্যে তিনজন এখনও পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আহদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল পাশের বদরগঞ্জ বাজার (দশমাইল) থেকে ছোট ভাই নৌবাহিনীর করপোরাল মনিরুল ইসলাম ও শ্বশুর শামসুল মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা (পশ্চিমপাড়া) ফিরছিলেন।
পথে বেলতলাদাড়ির মাঠ নামক স্থানে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় তাকে। নিহত সেনা সদস্য টাঙ্গাইল সালাউদ্দিন সেনানিবাসের মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টারে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনার একদিন আগে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. হাফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সাইফ খুনের ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কারণ ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় (বংকিরা) পুলিশ ক্যাম্প থেকে অনুমান ১০০ গজের মধ্যে। এতে করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড চাপে পড়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের (১নং ) আসামি আকিমুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, হত্যায় ব্যবহার করা দা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে দেয় সে।