ক্রিকেটারদের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলদেশ দল। টইগারদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় পেল ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচে হেরে গেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। বিশ্বকাপের মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৭১ রান করেও বাজে বোলিং আর মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে হেরে যায় বাংলাদেশ।
বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
টাইগারদের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে শেষ দিকে খেলতে নেমে ১৯তম ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব চালান বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
১৯তম ওভারে ইংলিশ তারকা লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বলে দুটি ছক্কা আর এক চার হাঁকিয়ে ওভারে সর্বোচ্চ ১৭ রান আদায় করে নেন নাসুম। শেষ দিকে তার ৯ বলের অপরাজিত ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
১২৪ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। নাসুম আহমেদের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার জস বাটলার। তার আগে ১৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান করেন তিনি।
এরপর ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ বলে অনবদ্য ৭৪ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। দলীয় ১১২ রানে তিনি যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৩ বলে মাত্র ১৩ রান। ৩৮ বলে ৫টি চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রান করে ফেরেন জেসন রয়।
এরপর জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে ৮ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ডেভিড মালান। তিনি ২৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ রান (মুশফিকুর রহিম ২৯, নাসুম আহমেদ ১৯*, মাহমুদউল্লাহ রিয়া; ১৯, নুরুল হাসান ১৬, মেহেদি হাসান ১১, লিটন দাস ৯, মোহাম্মদ নাঈম ৫, আফিফ হোসেন ৫, সাকিব আল হাসান ৪; টাইমাল মিলস ৩/২৭)।