১৯৭৬ সালে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ গোটা জাতির চেতনাকে শাণিত করে। তার নেতৃত্বে ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের সাথে তৎকালিন সরকারের দর কষাকষিতে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
রবিবার (১৫ মে) ‘১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, মওলানা ভাসানী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু নদীর বিপন্ন দশা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী এখন প্রায় পানিহীন অবস্থায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অবস্থা আরো শোচনীয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, ৪৬ বছর আগেই স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বিশ্ব বিবেককে পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগ্রত করতে লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকন্ঠ ভারতের শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।
আলোচনা সভা :
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে রবিবার (১৫ মে) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, বক্তব্য রাখেন এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, ঢাকা মহানগর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বাদল দাস, শফিকুল আলম শাহীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজো অমীমাংসিত থেকে গেছে। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখন সেই ফাঁদ ভারতের জন্যও মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
বক্তারা ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান, সাংগঠনিক প্রধান জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ সকল সংগঠক ও অংশগ্রহনকারী জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।