অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করায় মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউপি সদস্য ইসমাইল মৃধাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ইসমাইল মৃধা মহম্মদপুর উপজেলার পারুয়ারকুল গ্রামের মৃত আওয়াল মৃধার ছেলে। তিনি বাবুখালি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত ইউপি সদস্য।
মেয়েটির মা জানান, ইসমাইল মেম্বার কয়েক দিন আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে জানান, স্কুলের মেয়েদের ভাতার কার্ড তৈরির দায়িত্ব সরকার এবার তাকে দিয়েছে। কিন্তু কার্ড করতে হলে মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে। যে কারণে মেয়েকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ কথা বলে ইসমাইল মেম্বার রোববার সকালে মেয়ের সঙ্গে তাকে মোটরসাইকেলে চড়িয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছে মেম্বার তাকে টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে মেয়েকে নিয়ে যান। কিন্তু ইসমাইল মৃধা হাসপাতালে ডাক্তারদের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরিয়ে এখানে ডাক্তার নেই, অন্যত্র যেতে হবে বলে মেয়েকে রিকশায় উঠিয়ে শহরের হাজী সাহেব রোডে নিয়ে যায়। সেখানে শিক্ষা অফিসের পশ্চিমে জনৈক সেলিনা আকতারের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় সে চিৎকার দিলে ইসমাইল মৃধা মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মেয়েটি স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছে মায়ের কাছে বিস্তারিত জানায়।
এ অবস্থায় অসুস্থ মেয়েকে দেখে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সোমবার তিনি মাগুরা সদর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইসমাইল মৃধাকে গ্রেফতার করে।
মাগুরা সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন ইউপি সদস্য ইসমাইল মৃধাকে গ্রেফতারের ঘটনা স্বীকার করেছেন।