টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। তাদের চেপে ধরে টাইগাররা। আফগানিস্তানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে কাটানোর পর তৃতীয় ওভারে তৃতীয় বলে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু মিডউইকেটে তুলে মারতে গিয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন গুরবাজ। ক্যাচটি লুফে নিতে ভুল করেননি টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গুরবাজ ফেরেন ৭ রানে।
দ্রুতই আরও একটি উইকেট হারাতে পারতো আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। ৩ রানে জীবন পাওয়া জাদরান তাসকিনের পরের ওভারেই চড়াও হন। টানা দুই বলে একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান। দেখেশুনে খেলে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৪৫ রানের জুটিও গড়েন আফগান ওপেনার। বাংলাদেশ শিবিরে দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছিল।
অবশেষে এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের ১৪তম ওভারে তাকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ইয়াসির আলির ক্যাচ হন জাদরান (২৩ বলে ১৯)। ইয়াসির প্রথম দফায় ক্যাচটি তালুবন্দী করতে না পারলেও পরে অনেকটা শুয়ে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে বল ধরে ফেলেন।
রহমত শাহ আর হাশমতউল্লাহ শহিদি এরপর ধীরগতির এক জুটি গড়েন। ৫২ বলে গড়া তাদের ২৩ রানের জুটিটি বিচ্ছিন্ন হয় ইনিংসের ২২তম ওভারে। তাসকিন আহমেদের গতিতে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন রহমত। ৩৪ রান করতে তিনি খেলেন ৬৯টি বল। এরপর ঘনঘন বিরতিতে উইকেট যেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২১৫ রানে থামে আফগানরা।
টাইগারদের হয়ে মুস্তাফিজ নেন তিনটি, সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ নেন দুইটি করে উইকেট। আর মাহমুদুল্লাহ নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেট কিপার), ইয়াসির আলী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মকুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেট কিপার), ইব্রাহিম জাদ্রান, রহমত শাহ, হাসমতুর্রাহ শাহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মাদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ইয়ামিন আহমাদজাই, ফজলহক ফারুকী।