সম্মিলিত আক্রমণে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় পাকসেনারা। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হয় পঞ্চগড়। পঞ্চগড়ের মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে উড়ানো হয় বাংলাদেশের পতাকা। চারপাশে ধ্বনিত হয় ‘জয় বাংলা’।
গত এক দশক ধরে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা প্রশাসন এই দিনটিকে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। এবারও দিবসটি নানা আয়োজনে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই কার্যত মুক্তিবাহিনীর চতুর্মূখী আক্রমণের তীব্রতার মুখে পঞ্চগড় শহর থেকে অমরখানা ও তালমার মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। পঞ্চগড় এলাকায় তারা তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ পঞ্চগড়ে পাকসেনাদের সংখ্যা ছিলো প্রায় ১ ব্যাটালিয়ন। ২৮শে নভেম্বর রাতে পঞ্চগড় চিনিকল এলাকায় পাকসেনাদের ঘাঁটি দখল করতে যুদ্ধ শুরু করে মুক্তিবাহিনী। সাথে যোগ দেয় ভারতীয় মিত্র বাহিনী। রাতভর চলে গোলাগুলি।
যৌথ বাহিনীর প্রবল আক্রমণে ভোরের দিকে চিনিকল ঘাঁটি ছেড়ে খান সেনারা ময়দানদিঘী ও ঠাকুরগাঁয়ের দিকে পালিয়ে যায়। ভোরের আলো ফুটতেই জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয় চারপাশ।