দরবার শরীফের বিরদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী উলামা পরিষদসহ সমমনা ১৩টি ইসলামী দল। এ সময় তারা জঙ্গি-জামায়াত বিরোধী রাজারবাগ দরবার শরীফকে মূল্যায়নের আহ্বান জানান।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন থেকে রাজারবাগ শরীফের বিরদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট, সি.আই.ডির ভুল তদন্ত প্রত্যাখানের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন মাওলানা ক্বারী কাজী মাসউদুর রহমান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আ: সাত্তার, বাংলাদেশ ওলামা লীগের সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শোয়াইব আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সবুর কাঞ্চনপুরী, মুহম্মদ আল আমিন কুরাইশী, মাওলানা মোকাম্মেল হোসেন, মাওলানা রফিকুল আলম সিদ্দিকী আল কুরাইশী, মাওলানা সৈয়দ ওমর ফারুকসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বিবিত ১৩টি সমমনা দলের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব ১৯৭১ সালে ছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। উনার আপন ভাই ও ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজনরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন তিনি যেন জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।
বক্তারা বলেন, হাইকোর্ট এবং আইনমন্ত্রীর নামেও রাজারবাগ শরীফকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। প্রচার হয়েছে, ‘রাজারবাগ পীরের সব আস্তানা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের’। বাস্তবিকপক্ষে এরকম কোনো নির্দেশই দেননি হাইকোর্ট। ১০ অক্টোবর আইনমন্ত্রীর এক অনুষ্ঠানের বরাত দিয়ে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে যে, ‘রাজারবাগ পীরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইনমন্ত্রীর’। অথচ এই নিউজের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেছেন, তিনি রাজারবাগ শরীফ নিয়ে এ রকম কোনো বক্তব্য দেননি।
বক্তারা বলেন, কোথাও নিউজ হচ্ছে ৪৯ মামলা, কোথাও ৮০০ মামলা। কোথাও ৭ হাজার একর, কোথাও নিউজ হচ্ছে ৬ হাজার একর, কোথাও ৩ হাজার একর, আবার কোথাওবা ১ হাজার একর জমি দখল। মূলত এসব তথ্য বৈপরীত্যই প্রমাণ করে যে, এ সবই জঙ্গি-জামাতবিরোধী শতভাগ সুন্নতী আমলের হক্ব দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে সি.আই.ডির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কিভাবে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতাংশ জমির উপর তিনতলা বাড়ি দখলের জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত সত্য রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতক জায়গায় কোনো বাড়িও নেই এবং কোনো ৩ তলা বিল্ডিংও নেই। এটা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটাই বর্তমান পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মানবাধিকার কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্টে কোথাও রাজারবাগ শরীফের কোনো বক্তব্য নেই, রাজারবাগ শরীফের সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি এবং কোনো জিজ্ঞাসাও করা হয়নি।