শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে নারীবান্ধব সরকার। আজকের বাংলাদেশে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং আইনসভাসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দৃশ্যমান।’
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জয়ী এওয়ার্ড ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসেই প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণের এজেন্ডা গ্রহণ করেছিলেন। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময়ে জাতীয় মহিলা উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নির্দেশনায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়ীতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সরকারের নারীবান্ধব নীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
বিদেশে বাংলাদেশের নারীদের কর্মসংস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতেও বর্তমানে আমাদের নারীদের নিযুক্ত করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীদের বিরুদ্ধে সবধরনের বৈষম্য দূরীকরণবিষয়ক কনভেনশন (সিইডিএডাব্লিউ) এবং বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘চলমান অতিমারির মধ্যেও জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে’ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘ই-কমার্স আজকের বাংলাদেশের প্রসারমান অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্সে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।’
অনুষ্ঠানে উই-এর নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের ভেতর থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও ১০টি ক্যাটাগরিতে ১০ জন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আরো চারটি ক্যাটাগরিতে ৪০ জনসহ মোট ৫০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ‘জয়ী অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ প্রদান করা হয়। এর আগে উই-এর অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘উইহাটবাজার’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, লংকা-বাংলা ফাইনান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মওলা।