আজ শোকাতুর ১৫ই আগস্ট। এই দিনেই সংঘটিত হয় ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। গবেষকরা মনে করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা কেবল একদল সেনা সদস্যের আক্রমণই ছিল না। ছিল দেশি-বিদেশি শত্রুদের দীর্ঘদিনের নীলনকশার বাস্তবায়ন।
স্বাধীনতার পর বিপর্যস্ত দেশ। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ। সদ্য স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নেয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। তখনও থেমে যায়নি একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরেরা। বিদেশি শত্রুদের মদদে চলতে থাকে সুদুরপ্রসারী চক্রান্ত। যাদের প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধু।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ বলেন, অনেকেই বলে থাকে কিছু বিপদ্গামী সেনা সদস্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে যা আদৌ সত্যি নয়। দেশি-বিদেশি শত্রুদের দীর্ঘদিনের যে নীলনকশা ছিল, সেই নীলনকশার ধারাবাহিকতায়ই এই হিত্যাকান্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতের আঁধারে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নে হাত মেলায় খুনি মোশতাক ও তার সহযোগীরা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও নেপথ্যের যড়ষন্ত্রকারীদের বিচার হয়নি আজও।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে এবং যেসব খুনী পলাতক রয়েছে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা আছে, তা অব্যাহত থাকবে।
বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জাতি হারায় তার মহানায়ক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার থেকে লক্ষ্যচ্যুত হয় দেশ।