এই ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছর পশুর হাট বসে। চাষী-খামারিরা বছরজুড়ে গরু-ছাগল লালন পালন করে হাটে তোলেন। প্রায় প্রতিবারই খামারিরা অভিযোগ করেন, দেশের বাইরে থেকে গরু আসায় তারা ন্যায্য দাম পান না।
এবারও খামারিদের মনে একই শঙ্কা। বিদেশ থেকে গরু আসবে কিনা এই প্রশ্ন এখন তাদের মুখে মুখে।
এমতাবস্থায় আসন্ন কোরবানি সামনে রেখে দেশের বাইরে থেকে কোনো গবাদিপশু আসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আসন্ন কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত। গত দুই কোরবানির ঈদে আমরা দেশের বাইরে থেকে পশু আসতে দিইনি। তাতে পশুর সঙ্কট হয়নি। এ বছরও দেশে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। সীমান্তেও আমরা যোগাযোগ করছি, যাতে চোরাইপথে বা অন্য কোনো পথে একটা পশুও দেশের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে। কারণ আমাদের খামারিদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা অনেক কষ্ট করে খামার তৈরি করেছেন, বিনিয়োগ করেছেন। তাদের পশু বিক্রি হবে না, বাইরে থেকে আসবে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দেশে এখন ৪১ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার গবাদিপশু মজুত আছে। এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং সব ধরনের সহযোগিতার কারণে সরকারি-বেসরকারি খাতে এ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশটা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আমাদের দেশে মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যান্য প্রাণিজাত পণ্য যেভাবে উৎপাদন করা সম্ভব, এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই সম্ভব নয়।