পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহে ৫ দিনই বসবেন আপিল বিভাগ। তবে শারীরিক উপস্থিতিতে নয়, ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে সোমবার আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞার স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্ট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামীকাল পহেলা জুন মঙ্গলবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহের প্রতি রবিবার হতে বৃহষ্পতিবার (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছটি ব্যতিরেকে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত (সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা বিরতিসহ) বিচার কাজ পরিচালিত হবে।’
এদিকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চ এখনও বসছেন না। মাত্র ১৬টি বেঞ্চ বসছেন। এর মধ্যে কোনো কোনো বেঞ্চ একদিন পর একদিন বসছেন। এ অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগে আরো ৫টি বেঞ্চ বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। ফলে এখন থেকে হাইকোর্ট বিভাগে ২১টি বেঞ্চ বসবেন।
দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ হয়ে যায়। তবে জরুরী মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগ সপ্তাহে তিনদিন বসছেন। হাইকোর্ট বিভাগে বসছেন ১৬টি বেঞ্চ। আর নিম্ন আদালতেও বিচারক ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় আপিল বিভাগ সাপ্তাহিক ছুটির দুইদিন ছাড়া বাকী ৫দিনই বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য গতকাল বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। তবে যেখানে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিদিন ৫২/৫৩টি বেঞ্চ শারীরিক ও ভার্চুয়ালি বসেছে। সেখানে এখন মাত্র ১৬টি বেঞ্চ বসছে। এ কারণে হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। এরইমধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা।