এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য শনিবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক করেন। সেখানে সব রিপোর্ট তারা পর্যবেক্ষণ করেন।
মেডিকেল বোর্ডে থাকা এক চিকিৎসক জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই উন্নতির দিকে। তবে তা খুব ধীরে হচ্ছে।
শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে তার আবারও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
তার ফুসফুসের পানি বের করার জন্য বুকের দুই পাশের দুই পাইপের মধ্যে বুধবার বাম পাশেরটা খুলে ফেলা হয়েছে। ফুসফুসে পানি জমা পুরোপুরিভাবে বন্ধ হলে অন্য পাইপ খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হার্ট ও কিডনি জটিলতা বিষয়ে আরেকজন চিকিৎসক জানান, করোনাপরবর্তী জটিলতায় খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি এফেক্ট হয়েছে। যা রিকভার করার চেষ্টা চলছে।
আশা করছি এ সমস্যাও থাকবে না। খালেদা জিয়ার যে পরিমাণ খাবার দরকার, প্রোটিন দরকার সে পরিমাণ তিনি খেতে পারছেন না। এটা করতে পারলে আরও দ্রুত তিনি সুস্থ হতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার ধীরে উন্নতি ঘটছে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিয়মিত ফলোআপ করছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।
পরে ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন।
পরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পুরনো রোগ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি পোস্ট কোভিড জটিলতায় খালেদা জিয়া এখন হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।