বৃহস্পতিবার, আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন। দিনের শুরুতে রাজধানীতে গাড়ির চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
প্রথমদিন, সড়কে কড়াকড়ি থাকলেও দ্বিতীয় দিন, গাড়ির বাড়তি চাপ থাকায় পুলিশের চেকপোস্টে খুব একটা কড়াকড়ি দেখা যায়নি। তবে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারাই বের হয়েছেন তাদের নিয়ে বরাবরের মতো নজরদারি ছিলো নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম পলাশ কুমার বসু বলেন, অনেকে হাসপাতালে যাচ্ছে, করোনা টিকার জন্য যাচ্ছে আবার কেউ কেউ গার্মেন্টস বা ব্যাংক কর্মকর্তা আছে তাদের আমরা কোন বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু অনেকে আবার কোন কারণ ছাড়াই বের হচ্ছে তাদেরকেই আমরা আইনের আওতায় নিচ্ছি।
এদিকে, মুভমেন্ট পাস নিয়ে জটিলতা নিরসনে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আঠারো ক্যাটাগরিতে নিয়োজিত সেবাদানকারীদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না। শুধুমাত্র পরিচয়পত্র দেখালেই হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা:
১. চিকিৎসক
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড-১৯ টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা ও
১৮. বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
এর আগে ১৩ই এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মুভমেন্ট পাস অ্যাপস উদ্বোধন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।