পঞ্চম দিনে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব মার্কেটের দোকানপাট খুলেছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক মার্কেটের গেটে দাঁড়িয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় নজরদারি করছেন মালিক সমিতির নেতারা। শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য সবাই সরকারের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯ টার আগেই ইস্টার্ন মল্লিকা, গ্রীন স্মরণিকা শপিং মল, সুবাস্তু অ্যারোমা সেন্টার, ইসমাইল ম্যানশন, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নূর ম্যানশন, চাদনীচক মার্কেট, চন্দ্রিমা এবং নিউমার্কেটে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটে প্রবেশ এবং দোকান খুলতে দেখা গেছে।
মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা প্রসঙ্গে গাউছিয়া এবং মহানগর দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান বাবু বলেন, লকডাউনের মধ্যেও মানবিক কারণে মার্কেট খুলে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার অঙ্গীকার করেছি। তাই নিজে গেটে দাঁড়িয়ে থেকে যাদের মাস্ক নাই, তাদের মাস্ক দিচ্ছি। সব দোকান মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নোটিশ দিয়েছি। আশা করছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা চালাতে পারবো।
নিউমার্কেট গিয়ে দেখা গেছে, অনেক দোকান এখনও খোলেনি। যেগুলি খুলেছে, সেগুলিও পরিস্কার করার কাজ করছে। ৪ দিন বন্ধ থাকার কারণে দোকানের মালপত্রে প্রচুর ধুলোবালি জমেছে।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজুল ইসলাম বলেন, আমরা মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মাইকিং করছি, মাস্ক ছাড়া দোকানী বা ক্রেতা কাউকেই মার্কেটে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না, মার্কেটে জটলা বা ভিড় না করার জন্য বলা হয়েছে, প্রতিটি গেটে জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে।
ইস্টার্ন মল্লিকা দোকান মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার উদ্দিন খান বলেন, হ্যান্ড সেনিটাইজার, গেটে জীবানুনাশক ছিটানো, মাস্ক বিতরণ করছি। দোকানের শার্টারের বাইরে কাউকে মালামাল না ঝোলানোর জন্য মাইকিং করছি। সরকারি নিয়ম মেনে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবো।