জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে তারুণ্যের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। ছবিটি আগামী ২ এপ্রিল সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ছবির পরিচালক ও প্রযোজক সেলিম খান জানিয়েছেন, তাদের টার্গেট ১০০ সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা হলে ছবিটির প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হয়। প্রিমিয়ার শো উদ্ভোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবির পরিচালক সেলিম খান, চলচ্চিত্র পরিচারক সোহানুর রহমান সোহাস, শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, অভিনেতা শান্ত খানসহ ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবির কলাকুশলীরা।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন মানুষ- যার জীবনের যে কোনো একটি দিন নিয়েও বোধহয় একটি সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব। এই মহান মানুষটির যে কোনো আন্দোলনের অধ্যায় তো বটেই, তার যে ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে তা নিয়েও বড় বড় কালজয়ী সিনেমা বানানো সম্ভব। আজকে আমরা যে চলচ্চিত্রটি দেখতে এসেছি সেটি বঙ্গবন্ধু পুরো জীবন নিয়ে নয়, তার শৈশব থেকে তারুণ্য নিয়ে। এতে আমরা বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশরের ধারণা পাবো। আশাকরি বঙ্গবন্ধুর স্থপিত এফডিসি থেকে তাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর যে প্রয়াস সেটি অব্যহত থাকবে।
প্রিমিয়াম শো শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেলিম খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটি অংশ নিয়ে এই চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি সেন্সর বোর্ড একাধিকবার দেখেছে। জ্ঞানীগুণী জন দেখেই চলচ্চিত্রটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেনি। আমরা তার শৈশব-কৈশোর নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি।
চমকের কথা উল্লেখ করে পরিচালক সেলিম খান বলেন, আরও একটি চমক আছে দর্শকদের জন্য। আমরা জননেত্রী নামে আরও একটি চলচ্চিত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। খুব শীঘ্রই এই চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং শুরু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ছয় মাস গবেষণা করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজে নেমেছি। এমনকি আমার সকল কলাকুশলীরাও ছয় মাস গবেষণা করে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে নেমেছি। গল্পের ও চরিত্রের প্রয়োজনে নতুন মুখদেরকে নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি এই চলচ্চিত্র দর্শকদের ভালো লাগবে।
টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রের নায়ক শান্ত খান বলেন, এই চলচ্চিত্রের জন্য আমার সর্বস্ব দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। দর্শকরা পর্দায় দেখলেই বুঝতে পারবেন কি রকম কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি।
ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্ত খান। আর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। অন্যান্য চরিত্রে আছেন, দিলার জামান, মাজনূর মিজান, সুভ্রত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, জিয়াউল হাসান কিসলু, শিবাশানুসহ আরও অনেকে।