মহামারীকালে প্রেক্ষাগৃহে ‘দর্শক ফেরাতে’ বলিউডের ছবি একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তির অনুমতি চেয়ে গত বছরের নভম্বেরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বলিউডের ছবি আমদানির দাবি তুলেছিল হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
এরপর তথ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোর সঙ্গে বসে ঐকমতের ভিত্তিতে আবেদনের পরামর্শ দিলে প্রদর্শক সমিতি গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পরিচালক ও প্রযোজক দুই সমিতিকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। প্রাথমিকভাবে তারা ঐক্যমত হন বলিউডি সিনেমা আমদানি প্রসেঙ্গ।
তবে এরপর তিন মান কেটে গেলেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বরাবর আমদানি প্রসঙ্গে তিন সমিতির ঐক্যমতের চিঠি পৌঁছায়নি। পরবর্তীতে শিল্পী সমিতিকেও রাজী করানো যায়নি।
তিন মাস পেরোলেও আবেদনের জন্য সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে আসতে পারেনি বলে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের কাছে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান।
তিনি জানান, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির কোনও লিখিত সম্মতিপত্র না পাওয়ায় তারা এখনও মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারেননি। অপরদিকে প্রযোজকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সম্মতি পেলেও সংগঠনটির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় তার কার্যকারিতা হারিয়েছে।
এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সাড়া পাননি বলে জানান সুদীপ্ত কুমার দাস।
ফলে মন্ত্রণালয়ে আদৗ আবেদন জমা দেওয়া সম্ভবপর হবে কিনা তা নিয়েই অনিশ্চয়তার কথা জানালেন সুদীপ্ত কুমার।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান, প্রযোজক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় পরিচালক সমিতিও সম্মতিপত্র দেয়নি; প্রযোজকদের সম্মতি ছাড়া পরিচালকদের সম্মতি কাজে আসবে না।
২ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পরিচালক সমিতির নির্বাচনের পর নতুন কমিটি বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসবে বলে আশা করছেন গুলজার।
গত বছরের নভেম্বরে যখন বলিউডের ছবি আমদানির দাবি তোলা হয়েছিল তখন লোকসানের শঙ্কায় দেশীয় ছবি মুক্তি দিতে চাননি প্রযোজকরা।
গত তিন মানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে; এর মধ্যে শুধু মার্চেই মুক্তি পেয়েছে ‘স্ফূলিঙ্গ’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’, ‘অলাতচক্র’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র; মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি।