আক্রান্ত রোগীদেরকে প্লাজমা দেওয়ার জন্য করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। একই সঙ্গে প্লাজমা প্রয়োজন রয়েছে রোগীদের জন্যও রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টারে যোগাযোগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই আহ্বান জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। করোনা চিকিৎসায় রোগীদের জন্য অনেক প্লাজমা প্রযোজন। করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা তৈরি করা হয়। তাই করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তিরা রক্তদান করুন। একে অপরকে রক্তদানের বিষয় আগ্রহ সৃষ্টি করে অন্যের জীবন রক্ষায় অংশ নিন।’
গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে যেকোনো গ্রুপের ৪৫০ মিলি গ্রামের এক ব্যাগ প্লাজমা মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। হাসপাতালটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্লাজমা সেন্টার। ২৪ ঘণ্টা এটি খোলা থাকে। ফলে যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তাদেরকে ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্লাজমা দেওয়ার ফলে রোগীর পুনরুজ্জীবন লাভ সম্ভব। যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সুস্থ হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিন পর যদি রক্তদান করেন এবং তার শরীরে যদি নিউট্রালাইজড অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে, তবে সেই প্লাজমা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। অর্থাৎ করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিন পর রক্ত দিলে তা বেশি কার্যকর হয়।
প্লাজমা দেওয়ার বিষয়ে প্রথম কাজ হলো প্লাজমা সংগ্রহ করা, দ্বিতীয়ত করোনা রোগীদের প্লাজমা দেওয়া। প্রথমে কেউ রক্তদান করলে সেই রক্ত থেকে প্লাজমা পৃথক করা হয়। এ জন্য গণস্বাস্থ্যের অত্যাধুনিক সরঞ্জামসহ ব্লাড ট্রান্সমিশন সেন্টার রয়েছে। প্লাজমা পৃথক করে সেটি সংরক্ষণের জন্য একটি প্লাজমা ব্যাংকও রয়েছে।