শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, আর্দশচ্যুত হননি। আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন সেটা আজ প্রমাণীত যে সেটা অনুসরণ করলেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আমরা সেই কর্মসূচিই অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। তার পথ অনুসরণ করে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। এ ধরাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার স্বপ্ন ছিল এদেশের দারিদ্র পীড়িত মানুষকে মুক্ত করবেন। এমন করে দেশকে গড়ে তুলবেন যাতে বিশ্বের বুকে বাঙালি মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। ক্ষুধা দারিদ্র দুর করতে তিনি সেইভাবে কর্মসূচি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিতে গিয়ে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, আর্দশচ্যুত হননি। দুর্ভাগ্য তিনি যে দেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। এটা কেউ কল্পনাও করেনি, বিশ্বাস করতেও পারেনি। কারণ তিনি এদেশের মানুষকে অত্যান্ত ভালোবাসতেন। তিনি এদেশের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। কৃষক শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্য দিয়ে তার রক্ত ঋণ শোধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করছি। আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি। প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। শুধু হত্যাই নয় তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। একজনকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা, নায়ক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটা সফল হয়নি। বিশ্ব নেতারাও বলছেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন।
এ সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সারা দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, শিশু কিশোরদের প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।