নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ আসনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গণভোট চেয়েছেন। ওই গণভোটে তিনি জিতবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনী এলাকার কাহালুতে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ চ্যালেঞ্জ জানান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচনে পরাজয়ের পর হিরো আলম ফল পাল্টানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসি বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, এর কোনো ভিত্তি নেই। উপনির্বাচনের ফলাফল শতভাগ সঠিক। অনেক কেন্দ্রে প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ছিল না।
ইসির এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হিরো আলম বলেন, তার ও জাসদ প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের মধ্যে গণভোট দিন। জনগণ ভোট দিয়েছেন কি দেননি; ফলাফল চুরি করেছেন কি করেননি সেটা আমি দেখাব।
হিরো আলম আরও বলেন, গণভোটে প্রতিটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিবেন এবং সব নির্বাচন কমিশনার সেই ভোট দেখবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার অভিযোগ সঠিক হবে। না হলে ও গণভোটে হেরে গেলে আর কোনোদিন নির্বাচনের নাম মুখে আনবো না।
তিনি বলেন, ওই গণভোট হবে ব্যালটে। কারণ ইভিএমে কারচুপি হয়। আর কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়েছে। ভোটাররা আমার হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিশ্রাম নিয়ে আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিট করবেন। তিনি আশা করেন সেখানে তার পক্ষে ফলাফল আসবে।
এর আগে গত বুধবার রাতে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমি অশিক্ষিত, আমি এমপি নির্বাচিত হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে। দেশের সম্মান যেত; তাই ওইসব সাহেবরা আমার ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। নন্দীগ্রামের ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে বাকি ১০ কেন্দ্রের ফলাফল আলাদা ঘোষণা না করে মোট ফলাফল ঘোষণা করেছে। ওই ১০ কেন্দ্রের ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে। সব বুথে এজেন্ট থাকলেও প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ফলাফলের কপি দেয়নি। অথচ ইসি বললেন, আমার এজেন্ট ছিল না।
গত বুধবার দিনভর ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জাসদের সহ-সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। ১১২ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন, ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন, ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। নির্বাচনে মোট নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।