ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলপোস্টের পাশ থেকে জুলিয়ান আলভারেজকে যে নিখুঁত পাসে লিওনেল মেসি গোল করালেন, তা মুগ্ধ করেছে গোটা বিশ্বকে। পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন ৩৫ বছর বয়সী অধিনায়ক। সত্যিকারের মেসিকে এই ম্যাচে দেখতে পেয়েছেন প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ।
এখন জীবনের একমাত্র আক্ষেপ বিশ্বকাপ ট্রফি থেকে আর একটি জয় দূরে মেসি। কাতারে ছয় ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। ভেঙেছেন আর্জেন্টিনার সর্বকালের শীর্ষ বিশ্বকাপ গোলদাতার রেকর্ড। দুর্দান্ত এই মেসির বিপক্ষে কিছুই করার ছিল না বললেন দালিচ। তার মতে, এই ম্যাচে নিজের সেরা পারফরম্যান্স করেছেন মেসি।
একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্টে আবারও ম্যাচসেরা হয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তাকে প্রশংসায় ভাসালেন প্রতিপক্ষ দলের কোচও, ‘সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। সে বিপজ্জনক ছিল এবং তার সেই সামর্থ্য আছে। তার টেকনিক আছে এবং উচ্চ পর্যায়ের খেলা খেলেছে। এটাই সত্যিকারের মেসি যাকে আমরা দেখার আশা করি। আজ তাদের মাঝমাঠে চার জন মিডফিল্ডার ছিল এবং আমরা আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মেসি যখনই দৌড়ায় পার্থক্য তৈরি করে, তৃতীয় গোলে সে যেটা করলো।’
ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ এখনই শেষ হয়ে যায়নি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে তারা আগামী শনিবার। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল ফ্রান্স কিংবা মরক্কোর মুখোমুখি হবে তারা। দালিচ বললেন, ‘আমাদের আবার উঠে দাঁড়াতে হবে এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জিততে চেষ্টা করতে হবে। ৩০ মিনিট আমাদের ভালো নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং প্রথম গোলটা সত্যি কথা বলতে সন্দেহজনক। আমার খেলোয়াড়দের মতে ওটা ছিল কর্নার। দুটো গোলই হয়েছে একটু সহজে। দুই গোল হওয়ার পর ওই সময় ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। ওখান থেকে ফেরা খুব কঠিন।’
মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে চান দালিচ, ‘আমরা যা অর্জন করেছি তার জন্য মাথা উঁচু রাখতে পারি এবং আমাদের এখন লড়তে হবে তৃতীয় হওয়ার জন্য। আজকের দিনটা খেলোয়াড়রা দুঃখ পেয়েছে।