এখন আর্জেন্টিনার সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা লিওনেল মেসি। মঙ্গলবার সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে এই রেকর্ড গড়েন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে ১০ গোল করে আগের রেকর্ড ছিল বাতিস্তুতার কাছে। মেসি পাঁচ বিশ্বকাপে করলেন ১১ গোল। ক্রোয়েশিয়া গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচের কাছে জুলিয়ান আলভারেজ ফাউল হলে ৩৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে রেকর্ড গড়া গোল করেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় হাঙ্গেরির সান্দোর কোচসিস ও জার্মানির জুর্গেন ক্লিন্সম্যানের সঙ্গে মেসি যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। তার উপরে আছেন কেবল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা (১৬), ব্রাজিলের রোনালদো (১৫), পশ্চিম জার্মানির গার্ড মুলার (১৪), ফ্রান্সের জাস্টিন ফন্টেইন (১৩), ব্রাজিলের পেলে (১২)।
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে পাঁচ গোলের কীর্তি গড়লেন মেসি এবং গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে ছুঁলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ২-১ গোলের জয়ে পিএসজি ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও গুইলেরমো স্তাবিলের আট গোলের রেকর্ড ভেঙে দেয়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টিতে গোল করে ছুঁয়ে ফেলেন বাতিস্তুতাকে।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসি সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছুঁলেন। বিশ্বমঞ্চে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ২৫তম ম্যাচ খেলতে নামেন। বসেন জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের পাশে। ফাইনালে নামলে রেকর্ডটি একার করে নেবেন তিনি।
২০০৬ বিশ্বকাপ অভিষেকে মেসি প্রথম গোল করেন সার্বিয়া অ্যান্ড মন্টেনিগ্রোর বিপক্ষে। চার বছর পর মেসি পুরো বিশ্বকাপে একটিও গোল পাননি। ম্যারাডোনার কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা ওইবার কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় জার্মানির কাছে। এই ফরোয়ার্ড উপভোগ্য সময় কাটান ২০১৪ বিশ্বকাপে। প্রথম তিন ম্যাচে চার গোল করে দলকে ফাইনালে তুলতে সহায়তা করেন, তারা ফাইনালে হেরে যায় জার্মানির কাছে।
২০১৮ বিশ্বকাপে মাত্র একটি গোল করেন মেসি। আর এই বছর ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল করলেন তিনি।