শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ম্যাচে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের ভুলে শেষ বলের আগেও পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওপর বিশ্বাস রাখেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ওভারের প্রথম বলে বাই থেকে ১ রান নেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান রায়ান বুর্ল। দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ব্র্যাড ইভান্স। তৃতীয় বলে লেগ বাই থেকে ৪ রান নেয় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটি সহজ করে নেন এনগারাভা। শেষ দুই বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন এনগারাভা।
শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। সেই বলটি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন মুজারাবানী। তখন জয়ের আনন্দে মেতে উঠেন টাইগাররা।
কিন্তু দ্রুত স্টাম্পিং করতে গিয়ে নুরুলের গ্লাভস আগেই ঢুকে গেছে পপিং ক্রিজের মধ্যে। এমন হলে নিয়ম অনুযায়ী ‘নো’ বলই হওয়ার কথা। তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে এটিকে ‘নো’ দিয়েছেন। ততক্ষণে ব্যাটসম্যানরা ডাগআউটে ফিরে গিয়ে প্যাড–ট্যাড খুলে ফেলেছেন। বাংলাদেশ দলের উদ্যাপন চলছিল তখন। এমন সময় আম্পায়ার দুই দলকে মাঠে ডেকে পাঠান! খেলা শুরু হয় আবার।
তখন শেষ বলে ফ্রি হিট থেকে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৪ রান। এবারো বল–ব্যাটে সংযোগ করতে পারেননি মুজারাবানি। ৩ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মাইক আথারটন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন, বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ম্যাচসেরা তাসকিনকে প্রশ্ন করেছেন- ‘এমন কাণ্ড আমি কখনো দেখিনি, তুমি কি দেখেছ?’
এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, এমন কিছু যেন না হয়, তা নিয়ে আমি নুরুলকে আগেই সতর্ক করেছিলাম।
সাকিব যে নুরুলকে সতর্ক করেছিলেন, এর কারণ হলো আগের বলেও একই কাণ্ড ঘটাতে বসেছিলেন উইকেটপিকার। ওভারের পঞ্চম বলে নুরুল স্টাম্পিং করে সাজঘরে ফেরান এনগারাভাকে। সেই বলেও তার গ্লাভস পপিং ক্রিজের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল। আম্পায়ার তখনো ‘নো’ বল পরীক্ষা করেছিলেন।