দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশি নাগরিক হয়ে কিভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন তা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ জুন) সকালে সচিবালয়ে তিনি তার দফতরে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের প্রতি তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
বিএনপি নেতারা অর্থ পাচারের কথা বলে ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গেয়ে চলেছেন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চেয়ে আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের মতো একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কত টাকা বিনিয়োগ করলে বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া যায়?’
‘তারেক রহমান বিনিয়োগকৃত টাকা মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমেই বিদেশে পাচার করেছে’ বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোটের মাধ্যমে কোন গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন?”
সে সময় জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা, ১৯৭৭ সালে বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ৭৯ সালে সংসদ নির্বাচন, ৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনই ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মাগুরার নির্বাচনের কথা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বেগম জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসহ নির্বাচনের প্রচেষ্টা কোন গণতন্ত্র?’
নির্বাচনকালে বিএনপি কর্তৃক সন্ত্রাস, ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে সীল মারা, প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীদের হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া কী বিএনপির গণতান্ত্রের নমুনা? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের শাসনামলে এ সব দুঃখময় স্মৃতি স্মরণ করে আরও বলেন, ‘বিএনপি এদেশের ইতিহাসে যে ঘৃণ্য নজির সৃষ্টি করেছে দেশের মানুষ তা এখনও ভুলে যায়নি।’
বিএনপির শেখানো তথাকথিত গণতন্ত্রের পথে এদেশের মানুষ আর হাঁটতে চায় না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘যাদের শাসনামলে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের কলঙ্ক তিলক পরেছিল এবং দলের গঠনতন্ত্র থেকে যে দল দুর্নীতি বিরোধী সাত ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের দলে বিচরণের পথ উন্মুক্ত করে তারাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল,তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক।’
এর আগে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব আমিন উল্লাহ নুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।