পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য সরকার গোষিত টোল জনগণের ‘গ্রহণযোগ্য’ নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া টোল পূর্ণবিবেচনা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু পারাপারের টোল সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক বাড়িয়ে দেবে। উচ্চমাত্রার টোলের খেসারত দিতে হবে দেশের সব শ্রেণির মানুষকে। সরকারের উচ্চমাত্রার টোল আদায়ের এ সিদ্ধান্ত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে মানুষের আনন্দকে ম্লান করে দিবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবী জানান।
তারা বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেখানে টোলের হার কেন এতো বেশি হবে? বরাবর দেখা যায়, ব্রিজ হলে ফেরিতে যে টোল থাকে, ব্রিজেও সেটাই ঠিক করা হয়। কিন্তু পদ্মা সেতুতে শুরুতেই এতো বেশি টোল ধরা হচ্ছে কেন ? জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের পর আবার মাত্রাতিরিক্ত টোল নির্ধারণ কোনোভাবেই দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির তুলনায় পৌনে দুই গুণ টোল প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। উচ্চ টোলের কারণে পদ্মা সেতু থেকে মানুষ যেসব আর্থিক সুবিধা এবং সাশ্রয়ের উপযোগ পাওয়ার কথা ছিল, সেটা পুরোপুরি না পাবার সম্ভবনা তৈরী হচ্ছে। বরং উচ্চ হারের টোলের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা জনগণকে না দিয়ে বরং সরকার তা রাজস্ব আদায়ের নামে খেয়ে ফেলার আয়োজন করেছে।
তারা বলেন, পদ্মা সেতুর উচ্চ টোল দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিশিল্প পণ্য ও সেবার মূল্য বেশি হবে, এতে এই অঞ্চলের শিল্প বিকাশ বিঘ্নিত হবে নিশ্চিত। দিন শেষে দক্ষিণের মানুষের পকেট কাটার উপকরণ হয়ে উঠবে সড়ক ও সেতুর টোল। গতানুগতিক বেশি রাজস্ব আয়ের ধান্দা অর্থনৈতিক বিকাশে গতি আনার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত কোনো চিন্তাতাড়িত নয়, বরং এ যেন জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণগ্রস্ত সরকারের বাড়তি অর্থ আয়ের যেনতেন কৌশল।