রবিবার সকালে এ আবেদন করেন তিনি। এতে অপসারণ আদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদনও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার আগে তার কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি, যা সংবিধান পরিপন্থী। আবেদনে অপসারণের আগে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি জানিয়ে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রিভিউ আবেদনে শরীফ উল্লেখ করেন, আমি ১২ অক্টোবর ২০১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দুদকে বিশ্বস্ততা, অধ্যবসায় ও সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে আমি আমার সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে ৭০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুপারিশ করে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও এনআইডি প্রদানের ২০টি মামলা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা (এলএ), পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগের দুর্নীতির মামলা ও সম্পদের অনুসন্ধান, স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মামলা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ও সুপারিশ করেছি।
আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম কর্মরত থাকাকালীন আমার কাছে প্রায় ৭০টি অভিযোগের অনুসন্ধান ও ৪২টি মামলার তদন্তভার ছিল। এর বাইরে প্রধান কার্যালয়ের রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট প্রদান বিষয়ক ছয়টি অভিযোগের অনুসন্ধান টিমের সদস্য, মাহিনী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড বিষয়ক অভিযোগের অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য, ১৫৭ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাঁকখালী নদী দখল, চট্টগ্রাম এলএ শাখার দুর্নীতির বিপরীতে মামলা করার সুপারিশ, মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান, মহেশখালীর ২৭ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
শরীফ উদ্দিন সবশেষ দুদকের পটুয়াখালী জেলার উপ-সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরি বিধিমালা ভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করে দুদক।